“অলীক নেশা”
-সুমিতা পয়ড়্যা
সেই তো ওই নীলাম্বরের হাতছানি!
কেন্দ্রের অভিমুখে যেমন তীব্র আকর্ষণ
বৃত্তের বাইরেও তেমন স্রোতস্বিনী
রহস্যময় নেশা, আবেগপ্রবণ কৃষ্ণগহ্বর
নীল আঁচলের অমৃতটুকু রাশি রাশি প্রেম।
ভাবনাগুলো খন্ড খন্ড, তাই হয়তো বিচ্ছিন্ন,
চেতনার বৃত্তে অহেতুক একটা শিহরণ,
হৃদয়ের গভীরে অবোধ একটা ক্ষরণ;
ছোট্ট অনুভূতি জুড়ে শুধু তুমি আর তুমি।
নীল আঁচলের জলাল্পনায় শুধু চঞ্চলতা
অন্তর জগতে, বাহিরে জগতে যেদিকে তাকায়
শুধুই এলোমেলো ভাবনারা তল খুঁজে ফেরে।
যেমন করে নীলকন্ঠ পাখিটা সম্মোহিত আলোক নিয়ে আসে,
যেমনভাবে নীল জলে ধুয়ে যায় সব বিষন্নতা,
যেমনভাবে মোহনার বুকে সাগর নদী মেশে;
ঠিক এমনটাই বেদনা মুছে যায় নীল আঁচলে অবগাহনের কালে।
এ যেন এক মায়াবী শক্তি; আগুনের পাহাড়
নীল শিখা, নীল আলো, নীলাম্বরীর সাজ
অকুতোভয় অনন্ত তৃষ্ণার শিহরিত উৎসব
অন্তরের আলিঙ্গনে অন্তরের পুণ্যস্নান।
উত্তাল গর্জন, নিয়ন্ত্রণহীন উষ্ণতার প্রগলভ
তবু শান্ত নীল আকাশে নক্ষত্রদের উজ্জ্বল আলোকচ্ছটা
অলীক বিষাদে যেন অজস্র ফুলঝুরির অভিবাদন।